শুভেন্দুর দলবদলকে কেন্দ্র করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভাই দিব্যেন্দু
শুভেন্দুর দলবদলকে কেন্দ্র করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভাই দিব্যেন্দু

গত বহুবছর ধরে যেখানে আধীকারি পরিবার দিদির হয়ে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে, সেখানে কেনোই বা শুভেন্দু বাবুকে বিজেপিতে যোগদান করতে হল, উঠছে নানান প্রশ্ন।
অমিত শাহের সভায় শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানকে কেন্দ্র করে ব্যপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহলে।
শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলে ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীর বাক্য খুবই স্পষ্ট হলেও তার বাবা শিশির অধিকারী ছেলের এই পদক্ষেপে এখনও মুখ খোলেননি। ফলে শিশির অধিকারীকে নিয়ে একপ্রকার জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
হলদিয়ার সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী সংবাদ মাধ্যমের সম্মুখিন হন এবং প্রকাশ্যে কিছু কথা শুভেন্দু বাবুর উদ্দেশ্যে ছুড়ে দেন। তিনি বলেন, ‘এটা শুভেন্দুর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে আমি তৃণমূলের সাংসদ আছি এবং থাকব। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত সৈনিক এবং আগামী দিনেও থাকব।’
‘নন্দিগ্রামের সাংসদের মত ভবিষ্যতে হলদিয়ার সাংসদকেও কি গেরুয়া শিবিরে দেখা যেতে পারে’, সংবাদ মাধ্যমের এরুপ প্রশ্নে দিব্যেন্দু অধিকারী জানান, ‘এটি অমূলক প্রশ্ন। আমি তো আর পাগলা ষাঁড় হয়ে যাইনি। আমার অবস্থান স্পষ্ট।’এই প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের “শহিদ মাতা” তথা পাঁশকুড়া পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক ফিরোজা বিবি ব্যপক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘নন্দীগ্রামের সেন্টিমেন্ট নিয়ে উনি খেলা করলেন। সেটা ভাল কাজ করলেন না। নন্দীগ্রামবাসী হিসেবে কেউ সেটা ভালভাবে দেখবেন না।’
অমিত শাহর সাথে শুভেন্দু পুরনো যোগাযোগ কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন যে , ‘তাহলে ওঁর এতদিনের অভিনয়ের মানে কী ? নন্দীগ্রাম-কাণ্ডের জেরে আজ পর্যন্ত আমার পরিবারের সকলেই প্রায় নানা অসুখ-বিসুখে ভুগছেন। সেসব দিন আমরা এখনো ভুলিনি আর কোনোদিন ভুলবও না।’